দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার 'বীরগঞ্জ সিটি কেয়ার’, যা উপজেলা পর্যায়ের প্রথম স্মার্ট সিটি ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ও ওয়েব প্ল্যাটফর্ম। আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় স্থানীয় নাগরিক সেবা, পরিবহন, স্বাস্থ্য, বাজার, তথ্য ও কর্মসংস্থান ব্যবস্থাপনাকে একত্রিত করেছে এই প্ল্যাটফর্ম। ‘বীরগঞ্জ সিটি কেয়ার’-এর মূল লক্ষ্য — নাগরিকদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সেবা হাতের নাগালে এনে “এক ক্লিকেই সেবা” বাস্তবায়ন করা।

এই অভিনব উদ্যোগের পেছনে রয়েছে স্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান TechShilpo, যার নেতৃত্বে রয়েছেন মো: সোহাগ আলী ও মো: মিজানুর রহমান। সফটওয়্যার উন্নয়ন ও ডিজাইন টিমের সদস্যরা হলেন প্রান্ত রায়, ইয়াসিন আরাফাত, আব্দুল হাকিম এবং আরও কয়েকজন দক্ষ তরুণ আইটি বিশেষজ্ঞ, যাদের একমাত্র লক্ষ্য — “বীরগঞ্জকে দেশের প্রথম ডিজিটাল উপজেলা শহর” হিসেবে গড়ে তোলা।

‘বীরগঞ্জ সিটি কেয়ার’ বর্তমানে একাধিক নাগরিক সুবিধা প্রদান করছে, যার মধ্যে রয়েছে—রাইড শেয়ার ও অটো রিকশা সার্ভিস: এক ফোন কলেই রিকশা আপনার দরজায় হাজির। হোম ডেলিভারি সার্ভিস: বাজার, ওষুধ, খাবার ও দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস সরাসরি বাসায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে নির্ভরযোগ্য পরিবেশে।স্থানীয় দোকান ও ব্যবসা তালিকা:আপনার এলাকার দোকান, সার্ভিস প্রোভাইডার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণাঙ্গ তথ্য এক জায়গায়।হেলথ ও তথ্যসেবা:স্থানীয় ডাক্তার, হাসপাতাল, ও জরুরি হেল্পলাইনের তথ্য এখন আপনার হাতের মুঠোয়। জব ও বিজ্ঞাপন সেবা: কর্মপ্রার্থী ও নিয়োগদাতার সংযোগ ঘটাচ্ছে এক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। স্থানীয় সংবাদ ও ঘোষণা: বীরগঞ্জের সংবাদ, জনসচেতনতামূলক বার্তা ও সরকারি ঘোষণাগুলো রিয়েল-টাইমে আপডেট করা হচ্ছে। এই সমস্ত সেবা https://birganjcitycare.com ওয়েবসাইট এবং অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপ:https://play.google.com/store/apps/details?id=com.apps.birganjcity এর মাধ্যমে সহজেই ব্যবহার করা যায়।

বর্তমানে শতাধিক পরিবার, দোকান ও পরিবহনকর্মী এই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত আছেন। TechShilpo জানিয়েছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে বীরগঞ্জের প্রতিটি ওয়ার্ডে এই সেবা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। ভবিষ্যতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নাগরিক অভিযোগ ব্যবস্থাপনা ও জরুরি সেবা সংযোগও যুক্ত করা হবে। যোগাযোগ, হটলাইন:০১৬২৫৬২২৬৬০, ওয়েবসাইট: https://birganjcitycare.com ‘বীরগঞ্জ সিটি কেয়ার’ শুধু একটি অ্যাপ নয় — এটি একটি ডিজিটাল বিপ্লবের সূচনা, যা স্থানীয় অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও নাগরিক জীবনের মান উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। প্রযুক্তিনির্ভর এই প্ল্যাটফর্ম প্রমাণ করছে — বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন উপজেলা থেকেই শুরু হচ্ছে।